প্রকাশিত: ১২/০৬/২০১৭ ৮:৪১ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:৩৯ পিএম

নিউজ ডেস্ক::
যশোর শহরের রেল সড়ক এলাকায় এক যুবকের পকেটে গাঁজা ঢুকিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রহমান। গত শনিবার রাত ১০টার দিকে স্থানীয় জনসাধারণ ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে হাতেনাতে ধরে আটকে রাখেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রাতেই ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১০টার দিকে যশোর শহরের মাইকপট্টি এলাকায় শৈশব ও তাঁর বন্ধু একটি মোটরসাইকেলে করে বেজপাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। শহরের রেল সড়কের সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখার সামনে পৌঁছালে সাদাপোশাকে এক ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তাঁদের গতি রোধ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি মোটরসাইকেলের পেছনে বসা সুব্রতের পকেটে গাঁজা ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তাকে আটক করে হেনস্তা করেন।

মোটরসাইকেলে থাকা শৈশব সাংবাদিকদের বলেন, সাদাপোশাকে থাকা পুলিশের ওই কর্মকর্তা মোটরসাইকেলে পেছনে থাকা সুব্রতের পকেট চেক করতে উদ্যত হন। কিন্তু পুলিশকে সুযোগ না দিয়ে সুব্রত নিজেই তার পকেট দেখান। এ সময় তার পকেট থেকে একটি চাবি নিচে পড়ে যায়। সুব্রত সেটি ওঠানোর সময় একটি কাগজ মোড়ানো অবস্থায় সুব্রতর পকেটে দেওয়ার চেষ্টা করেন পুলিশের ওই সদস্য। ‘পকেটে কী দিচ্ছেন’ বলে প্রতিবাদ করেন সুব্রত। জবাবে পুলিশের সদস্য গালিগালাজ করলে তাঁরা চিৎকার দেন। তখন স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তাকে আটকে রাখেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলেন, খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামসুদ্দোহা, এসআই মিরাজ মোসাদ্দেক, এসআই মোকলেসুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁরা উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে ব্যর্থ হন। এরই মধ্যে জনতা অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মাহবুবকে টানাহেঁচড়া করে হেনস্তা করেন।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই রাস্তা দিয়ে বাসায় ফিরছিলেন যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান। উত্তেজিত জনতা তাঁর কাছে নালিশ দেন। তিনি তখনই পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন।

জাহিদ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশ সুপার আমাকে ফোনে রেখেই এসআই মাহবুবকে সাসপেন্ড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার ঘোষণা দেন। আমি এসপির এই নির্দেশ উপস্থিত জনতাকে জানালে তাঁরা শান্ত হন।’

জানতে চাইলে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদ মো. আবু সারোয়ার প্রথম অলোকে বলেন, ‘ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় প্রত্যাহার করে তাঁকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।’

পাঠকের মতামত